মধ্য চীনের ঝেংঝুতে রয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আইফোন কারখানা। এই কারখানায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত কিছু ভিডিও সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর বিবিসির।
ওই সব ভিডিওতে দেখা যায়, ঝেংঝুর আইফোন কারখানার কয়েকশ কর্মী বিক্ষোভ করছেন। এর মধ্যে কয়েকজন বিক্ষোভকারী হ্যাজমাট স্যুট পরিহিত দাঙ্গা পুলিশের মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের মারধর করছে পুলিশের সদস্যরা।
গত মাসে করোনাভাইরাসের জন্য ফক্সকনের বিশ্বের বৃহৎ আইফোন কারখানাটিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময় বাধ্য হয়ে অনেক কর্মী পালিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। পরে বোনাস বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নতুন কর্মী নিয়োগের কথা জানায় ফক্সকন।
সবশেষ বিক্ষোভ নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ফক্সকন কর্তৃপক্ষ।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রকাশিত ফুটেজে শ্রমিকদের চিৎকার করতে দেখা গেছে। তারা বলছিল, ‘আমাদের অধিকার রক্ষা করুন! আমাদের অধিকার রক্ষা করুন!’ বিক্ষোভকারীদের এক অংশকে লাঠি দিয়ে ক্যামেরা ও জানালা ভাঙতে দেখা গেছে।
বেশ কয়েকটি ফুটেজে শ্রমিকরা তাদের দেওয়া খাবারের বিষয়ে অভিযোগ করছেন। এমনকি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বোনাস পাননি বলেও ওইসব ভিডিওতে তাদের বলতে দেখা যায়।
লাইভ স্টিমে ফক্সকনের এক কর্মী বলেন, ‘তারা আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল তা ভঙ্গ করেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বোনাস পায়নি। তারা আমাদের বাধ্য করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাচ্ছে, তবে খাবার দিচ্ছে না। তারা আমাদের চাহিদা পূরণ না করলে, আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। ’
পুলিশের মারধরের পর একজন ব্যক্তিকে গুরুতরভাবে আহত, এমনকি মারা যেতে পারে বলে দাবি করেছেন ফক্সকনের ওই কর্মী।
সম্প্রতি ঝেংঝু প্ল্যান্টে কাজ শুরু করা একজন কর্মী বিবিসিকে বলেছেন, ‘ফক্সকন তাদের প্রতিশ্রুতির চুক্তি পরিবর্তন করেছে। এর ফলে শ্রমিকরা প্রতিবাদ করছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন কাজ শুরু করা অনেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। কারণ গত সপ্তাহেই প্ল্যান্টটির অনেক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা এখনও সেখানে রয়েছেন। ’
‘যে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে তারা অতিরিক্ত বোনাস ও বাড়ি ফিরে যেতে চাই,’ যোগ করেন তিনি।
বুধবার সকালে কারখানার বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশের সমাগম ছিল বলেও জানান ফক্সকনের এই কর্মী।
নতুন নিয়োগ পাওয়া আরেক কর্মী বিবিসিকে বলেন, ‘আমি সকালে কারখানায় গেলে একজন রক্তাক্ত ব্যক্তিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি। কেন অনেকে বিক্ষোভ করছে তার সঠিক কারণ আমি জানতাম না। তবে নতুন কর্মীদের সঙ্গে করোনা পজিটিভ পুরানো শ্রমিকদের মিশ্রিত করা হচ্ছে। ’